• ||
  • Friday, April 19th, 2024
  • ||

ব্যভিচার থেকে দূরে থাকার গল্প

ব্যভিচার থেকে দূরে থাকার গল্প
  • গল্পটা নবী যুগের। হাদিসের গ্রন্থে বর্ণিত হয়েছে। একবার সাহাবাদের সঙ্গে বসে আছেন মানবতার নবী  মোহাম্মদ (সা.)। এ সময় এক যুবক নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলল, ‘ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমাকে জিনা (ব্যভিচার) করার অনুমতি দিন।’ এ কথা শুনে উপস্থিত সাহাবারা চমকে উঠলেন এবং তাকে তিরস্কার করতে লাগলেন।
  •  
  • কিন্তু নবী (সা.) তাকে নিজের কাছে এনে বসালেন। অতঃপর বললেন, ‘তুমি কি তোমার মায়ের জন্য এটা পছন্দ করবে? সে বলল, ‘না, ইয়া রাসুলাল্লাহ। আল্লাহ আমাকে আপনার প্রতি উৎসর্গিত করুন।
  •  
  • কোনো মানুষই তার মায়ের জন্য এটা পছন্দ করবে না।’ তারপর নবী (সা.) বললেন, ‘তাহলে তোমার মেয়ের জন্য?’ যুবকটি বলল, ‘না, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমি আপনার প্রতি উৎসর্গিত। কোনো মানুষই তার মেয়ের জন্য এটা পছন্দ
  • করবে না।’
  •  
  • নবীজি (সা.) জিজ্ঞাসা করলেন, ‘তাহলে তোমার বোনের জন্য?’ যুবকটি বলল, ‘না ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমি আপনার প্রতি উৎসর্গিত। কোনো মানুষই তার বোনের জন্য এটা পছন্দ করবে না।’ নবীজি জিজ্ঞাসা করলেন, ‘তাহলে তোমার ফুফুর জন্য?’ যুবক বলল, ‘না ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমি আপনার প্রতি উৎসর্গিত। কোনো মানুষই তার ফুফুর জন্য এটা পছন্দ করবে না।’ নবীজি জিজ্ঞাসা করলেন, ‘তাহলে তোমার খালার জন্য?’ যুবক বলল, ‘না কখনও না। আল্লাহ আমাকে আপনার জন্য উৎসর্গিত করুন। কোনো মানুষই তার খালার জন্য এটা পছন্দ করবে না।’ এরপর নবী (সা.) তার শরীরে হাত রাখলেন এবং দোয়া করলেন- ‘ইয়া আল্লাহ, তার গুনাহ ক্ষমা করুন, তার অন্তর পবিত্র করুন এবং তার চরিত্র রক্ষা করুন।’ বর্ণনাকারী বলেন, নবী (সা.)-এর শিক্ষার ফলাফল এই হলো যে, পরবর্তী জীবনে সে যুবক (রাস্তায় চললে) কোনো দিকে চোখ তুলেও তাকাত না। (মুসনাদে আহমদ : ৫/২৫৬-২৫৭)
  •  
  • হাদিসের শিক্ষা খুবই চমৎকার। একজন পুরুষ যার সঙ্গে যৌনতা করতে চায়, সে নিশ্চয় অন্য কারও মা, মেয়ে, বোন, ফুফু কিংবা খালা। সে ব্যক্তি যেমন নিজের মা, মেয়ে, বোন, ফুফু ও খালাদের সম্মানের চোখে দেখে, তেমন যদি অন্যের মা, মেয়ে, বোন, ফুফু, খালাদেরও সম্মানের চোখে দেখে- তাহলে ব্যভিচারের মতো জঘন্য অপরাধ সে করতে পারবে না! এভাবে যদি সমাজের প্রত্যেকটি যুবক চিন্তা করতে পারে এবং নিজেকে বাঁচিয়ে রাখতে পারে- তাহলে সমাজ থেকে জিনা-ব্যভিচারের মতো জঘন্য অপরাধ দূর হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।

লেখক : আমিন ইকবাল
 

comment
Comments Added Successfully!