• ||
  • Tuesday, April 30th, 2024
  • ||

চামড়ার মোজায় মাসাহের বিধান

চামড়ার মোজায় মাসাহের বিধান
  • শীতকালে ঠান্ডার প্রকোপ থেকে বাঁচতে চামড়ার মোজা ব্যবহার করা হয়। চামড়ার মোজা ব্যবহারের ফলে ঘরে-বাইরে পায়ের অংশটুকু নিরাপদ রাখা যায়। বারবার মোজা খোলা, পা ধোয়া, মোজা পরিধান করা কষ্টের কাজ। ইসলাম বান্দার এ বিষয়টি অনেক সহজ করেছে। অজুর ফরজগুলোর অন্যতম হচ্ছে দুই পা টাখনু পর্যন্ত ধৌত করা।
  •  
  • পা না ধুয়ে চামড়ার মোজার ওপর মাসাহ করার সুযোগও রয়েছে ইসলামে। তবে মাসাহের আগে অবশ্যই পরিপূর্ণভাবে অজু করে অজু থাকা অবস্থায় চামড়ার মোজা পরিধান করতে হবে। এরপর অজু নষ্ট হওয়ার সময় থেকে নিয়ে মুকিম তথা বাড়িতে অবস্থানকালে এক দিন এক রাত আর সফরে থাকা অবস্থায় তিন দিন তিন রাত মাসাহ করার বিধান আছে। এ আমল বছরজুড়েই করা যায়। হজরত আলিী ইবনে আবি তালিব (রা.) বলেন, ‘নবীজি (সা.) মোজার ওপর মাসাহের মেয়াদ মুকিমের জন্য এক দিন এক রাত এবং মুসাফিরের জন্য তিন দিন তিন রাত নির্ধারণ করেছেন।’ (মুসলিম : ২৭৬)
  •  
  • পা ধোয়ার পরিবর্তে মাসাহের এ বিধান সব মোজার ওপরই হয় না। সুতা ও নাইলনের মোজার ওপর মাসাহ করলে হবে না; বরং মোজার ওপর মাসাহ করার জন্য মোজাটি টাখনু পর্যন্ত ঢেকে ফেলে এমন এবং চামড়ার মোজার গুণে উত্তীর্ণ হতে হবে। মোজা এমন মোটা হতে হবে, যেন ওপরে পানি পড়লে ভেতরে না পৌঁছায়। সঙ্কীর্ণতা বা রাবার অথবা সুতা ইত্যাদি দিয়ে বাঁধা ছাড়াও স্বয়ংসম্পূর্ণভাবে পায়ের সঙ্গে লেগে থাকে এবং শুধু মোজা পরিধান করেই দু-তিন মাইল হাঁটা যায়- এমন হতে হবে। (মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা : ১/১৮৮; ফাতহুল কাদির : ১/১০৯)
  •  
  • মাসাহ করার পদ্ধতি হচ্ছে- দুই হাতের ভেজা আঙুলগুলো দুই পায়ের আঙুলের ওপর রাখা। এরপর হাতদুটি পায়ের গোছার দিকে টেনে আনা। ডান পা ডান হাত দিয়ে মাসাহ করা; বাম পা বাম হাত দিয়ে মাসাহ করা। মাসাহ করার সময় হাতের আঙুলগুলো ফাঁক করে রাখা। একাধিকবার মাসাহ না করা। বিশেষভাবে স্মরণ রাখতে হবে, চামড়ার মোজার ওপর মাসাহ করার সময়কাল গণনা শুরু হয় প্রথমবার অজু ভাঙার পর প্রথমবার মাসাহ করা থেকে। প্রথমবার মোজা পরিধানের সময় থেকে নয়।
  •  
  • অর্থাৎ কেউ যদি ফজরের নামাজের সময় অজুর পর চামড়ার মোজা পরিধান করে এবং একই অজু দিয়ে জোহর ও আসর আদায় করে, তারপর মাগরিবের সময় জরুরি কাজ সেরে অজু করে ও মাসাহ করে, তবে এই মাগরিব থেকে পরের দিন মাগরিব পর্যন্ত এক দিন ধরা হবে। (ফাতাওয়া শামি : ১/২৬০)
comment
Comments Added Successfully!