• ||
  • Tuesday, April 30th, 2024
  • ||

নবীজির প্রতি ভালোবাসা

নবীজির প্রতি ভালোবাসা

মুমিনদের কাছে সবচেয়ে প্রিয় ব্যক্তি আল্লাহর রাসুল (সা.)। নবীজির নাম, তার স্মরণ ও আদর্শময় জীবন, মুমিনের কাছে পবিত্র ও মূল্যবান। নবীজির সঙ্গে মুমিনের সম্পর্ক প্রাণের চেয়েও বেশি। ইরশাদ হচ্ছে, ‘রাসুল (সা.) মুমিনদের কাছে আপন সত্তা থেকেও অধিক অগ্রগণ্য।’ (সুরা আহজাব : ৬)। এই আয়াতের ঘোষণা থেকেও অনুমান করা যায় নবীজির প্রতি কী পরিমাণ ভালোবাসা রাখা উচিৎ। রাসুল (সা.) নিজেও বলেছেন, ‘তোমাদের মধ্যে কেউ ততক্ষণ পর্যন্ত মুমিন হতে পারবে না যতক্ষণ পর্যন্ত আমি তার কাছে তার পিতা ও সন্তানের চেয়ে, সকল মানুষের চেয়ে, এমনকি তার প্রাণের চেয়েও অধিক প্রিয় না হই।’ (বুখারি : ৬৬৩২; মুসলিম : ১/৪৯)
 
রাসুল (সা.)-এর প্রতি মহব্বত ও ভালোবাসা পৃথিবীর অন্যান্য শ্রদ্ধেও ব্যক্তির প্রতি ভালোবাসার মতো নয়। বরং এটা সরাসরি ঈমানের দাবি। নবীজির প্রতি কেমন আবেগ, ভালোবাসা, আদব ও বিনম্রতা প্রকাশ করতে হবে, এ সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে ও হাদিসে অসংখ্যা বর্ণনা রয়েছে। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘হে মুমিনেরা! তোমরা আল্লাহ ও রাসুলের সামনে অগ্রণী হয়ো না এবং আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ সবকিছু শুনেন ও জানেন। হে মুমিনেরা! তোমরা নবীর কণ্ঠস্বরের ওপর তোমাদের কণ্ঠস্বর উঁচু করো না এবং তোমরা একে অপরের সাথে যেরূপ উঁচুস্বরে কথা বল, তাঁর সাথে সেরূপ উঁচুস্বরে কথা বলো না। এতে তোমাদের কর্ম নিস্ফল হয়ে যাবে এবং তোমরা টেরও পাবে না।’ (সুরা হুজুরাত : আয়াত ১-২)
 
রাসুল (সা.)-এর পবিত্র নামের প্রতিও শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা প্রকাশ করা জরুরি। কেননা, তার নামের বিষয়টি সরাসরি দ্বীন ও ঈমানের বিষয় এবং ইসলামের শিয়ার ও নিদর্শন। স্বয়ং আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ নামের প্রতি তাজিম ও উচ্চ মর্যাদা প্রকাশ করেছেন। কালেমায়ে তাওহিদ ও কালেমায়ে শাহাদাত, যা ঈমানের কালেমা ও শিয়ারে ইসলামÑ তাতেও আল্লাহ তায়ালা নিজের নামের সঙ্গে রাসুল (সা.)-এর নাম যুক্ত করেছেন। আজানে ও নামাজের তাশাহুদেও প্রিয় নবীজির নাম অন্তুর্ভুক্ত করেছেন। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘আমি আপনার আলোচনা সমুচ্চ করেছি।’ (সুরা আলাম নাশরাহ : ৩)
 
রাসুল (সা.)-এর পবিত্র নামের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা প্রকাশের আরেকটি দৃষ্টান্ত হচ্ছে, তার নাম উচ্চারিত হলে দরুদ পাঠ করা আবশ্যক। যে ব্যক্তি রাসুল (সা.)-এর নাম শুনলে দরুদ পড়ে না, তার ধ্বংস কামনা করা হয়েছে। হজরত জিবরাইল (আ.) স্বয়ং তার ব্যাপারে বদদোয়া করেছেন আর রাসুল (সা.) সে দোয়া কবুলের জন্য ‘আমিন’ বলেছেন! হাদিসে এসেছে, হজরত জিবরাইল (আ.) বললেন, ‘যার সামনে আপনার নাম উচ্চারিত হয়, অথচ সে দরুদ পড়ে না তার বিনাশ হোক।’ তখন রাসুল (সা.) বললেন, ‘আমিন’। (ইবনে হিববান : ২৯২-২৯৮)

comment
Comments Added Successfully!