• ||
  • Wednesday, May 1st, 2024
  • ||

সামান্য অহংকারে ধ্বংস হবে সবকিছু

সামান্য অহংকারে ধ্বংস হবে সবকিছু

নানা প্রকৃতির মানুষ ভিন্ন মন-মানসিকতা নিয়ে জীবনের অন্তিম পথের দিকে হেটে চলছে ৷ দেহে এক সংস্কৃতি, অন্তরে অন্য মূলনীতি ৷ বাহ্যিক অবয়ব একটি মুখোশ মাত্র ৷ মানুষের রহস্যের উদঘাটনের নেই কোনো শেষ, বুঝা সম্ভব না কারো ভিতরের সত্য পরিচয় ৷

ক্ষণিকের পথ চলায় মানুষ কত ধরনের রূপ প্রকাশ করে থাকে ৷ কারো নম্রতা আর সহনশীল চারিত্রিক গুণাগুণ দৃশ্যমান এবং কারো হিংসা আর অহঙ্কারের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ আচরণ ৷ প্রায় সবার অন্তরে কম-বেশি অহঙ্কারের অনুপ্রবেশ ঘটে থাকে। অহঙ্কারের মাত্রা অতিরিক্ত রূপ ধারণ করার ফলে ধ্বংস অনিবার্য হয়ে পড়ে ৷

অহঙ্কারের সূচনা হয় প্রথম কার মাধ্যমে এবং কিভাবে সে সম্পর্কে অনেকেই অজ্ঞ ৷ পবিত্র কুরআন থেকে স্পষ্ট প্রতিয়মান অহঙ্কারের সূচনা করে অভিশপ্ত ইবলিস (শয়তান) ৷

যেভাবে সে অহঙ্কার প্রকাশ করেছিল তা কুরআনে এইভাবে বর্ণিত হয়েছে, আল্লাহ বললেন, ‘আর যখন আমি ফেরেশতাদেরকে বললাম, ‘তোমরা আদমকে সিজদা কর’ । তখন তারা সিজদা করল, ইবলীস ছাড়া। সে অস্বীকার করল এবং অহঙ্কার করল। আর সে হল কাফিরদের অন্তর্ভুক্ত । (সূরা আল-বাকারা:৩৪; সূরা সোয়াদ: ৭৩-৭৪)

আল্লাহ তা’য়ালা আরো বললেন, ‘সুতরাং তুমি এখান থেকে নেমে যাও । তোমার এ অধিকার নেই যে, এখানে তুমি অহঙ্কার করবে। সুতরাং বের হও। নিশ্চয় তুমি লাঞ্ছিতদের অন্তর্ভুক্ত’ । (সূরা আল-আরাফ, আয়াত-১৩) শয়তান মানুষের প্রকাশ্য শত্রু ৷ তাই, শয়তানের যে কোনো আচরণ কারো চারিত্রিকের অংশ হলে তার ওপর অভিশাপের বৃষ্টি বর্ষণ হতে থাকে ৷ আল্লাহ তা’য়ালা শয়তানকে লানত করার পাশাপাশি পরোক্ষভাবে যারা তার অনুসরণ করবে তাদের ওপরও লানত করেছেন ৷ সুতরাং বুঝা যায় যে, অহঙ্কার একমাত্র ধ্বংস বয়ে আনে ৷

জীবন কালাতিপাত করার লগ্নে কত প্রকৃতির মানুষের আচরণ দৃষ্টিলব্ধ ৷ এর মধ্যে কিছু মানুষ অহঙ্কারের পোশাক পরিহিত ৷ আশেপাশে দেখা যায় এই প্রকৃতির মানুষগুলো সবচেয়ে বেশি অন্তরে হিংসা ও ঘৃণা নিয়ে ঘুরে বেড়ায় ৷ পথ চলার সময় একজন রিক্সা চালকের সাথে ধাক্কা লাগলে অহংকারবশে ওই চালককে হেয় প্রতিপন্ন করে ৷

টাকা একটু বেশি হলে পাশে থাকা মানুষদের দৃষ্টিগোচর হয় না, কোনো একটা ভালো পোস্টে অবস্থান করলে নিচু স্তরের মানুষের সাথে ব্যবহার করে ঘৃণাসূচক কটুক্তি ৷ কিছু ছাত্র পড়া লেখায় ভালো মার্ক পায় বলে দূর্বল প্রকৃতির ছাত্রদের সাথে মিশতে চায় না ৷ সমাজের প্রভাবশালী হওয়াতে ন্যায়ের পথ চোখে দেখে না; দূর্বলদের প্রতি ক্ষমতার প্রয়োগ দেখায় ৷ তারা এমনভাবে চলেফেরা করে যেন উচ্চতায় পাহাড় ছাড়িয়ে গেছে ৷

এসব লোকদের উদ্দেশ্য করে আল্লাহ বলেন, ‘আর যমীনে বড়াই করে চলো না; তুমি তো কখনো যমীনকে ফাটল ধরাতে পারবে না এবং উচ্চতায় কখনো পাহাড় সমান পৌঁছতে পারবে না ।’ (সূরা বনী-ইসরাঈল: ৩৭)

দরিদ্র থেকে একটু সচ্চল হতে পারলে কিছু মানুষ গত হওয়া জীবনের ইতিহাস ভুলে যায়, ভুলে যায় অসহায়ত্ব ও ভোগান্তিকর পরিস্থিতির কথা ৷ কে এই অন্ধকার পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের সুযোগ সৃষ্টি করে দিলেন তা মনেই রাখে না বিন্দু পরিমাণ ৷ বর্তমান সমাজের দিকে দৃষ্টিপাত করলে এমন প্রকৃতির মানুষের কোনো অভাব হয় না ৷ হাটার জন্য যাদের পায়ে ভালো এক জোড়া চ্যান্ডেল ছিল না; এখন ব্র্যান্ডের জুতো ছাড়া চলে না ৷ দু’বেলা খাওয়ার জন্য চাউল যোগাড় করতে পারতো না; এখন মাছ-মাংস ছাড়া এক বেলা অতিক্রম করে না ৷

আশ্রয়ের জন্য ভালো কোনো ঘর-বাড়ি ছিল না; এখন পাঁচ তলা উচু ভবনে না ঘুমিয়ে পারে না ৷ এরা কথা বলার সময় গর্ব করে বলে, এগুলো আমাদের রক্ত ঝরা ঘামের পরিশ্রম মাত্র ৷ নিজেদের কষ্টে অর্জিত এই সবকিছু ৷ এমনকি কোনো উপকারির উপকারের কথা পর্যন্ত অস্বীকার করে বসে ৷ এই প্রকৃতির মানুষগুলো আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় না করে অহঙ্কার ও দাম্ভিকতা প্রকাশ করে থাকে বলে সে জন্য তাদের চরিত্রের নমুনা স্বরুপ একটি চিত্র পবিত্র কুরআনে লিপিবদ্ধ করে রেখেছেন ৷

আল্লাহ তা’য়ালা বলেন, ‘আর দুঃখ-দুর্দশা স্পর্শ করার পর যদি আমি তাকে নিয়ামত আস্বাদন করাই, তাহলে সে অবশ্যই বলবে, ‘আমার থেকে বিপদ-আপদ দূর হয়ে গেছে, আর সে হবে অতি উৎফুল্ল, অহঙ্কারী ।’ (সূরা হুদ, আয়াত-১০)

অহঙ্কারের বহু স্তর রয়েছে ৷ অনেক কিছুকে কেন্দ্র করে অহঙ্কার প্রকাশিত হতে পারে ৷ উদাহরণস্বরূপ- শারীরিক সুঠাম দেহী গঠন নিয়ে অহঙ্কার প্রকাশ করতে পারে, চেহারার সৌন্দর্য বা রূপ নিয়ে, অতি স্মার্টনেসের কারণে, আভিজাত্য পোশাক পরিধানের দরুন, গাড়ি-বাড়ি ও বিপুল সম্পত্তির অধিকারী হওয়াতে, প্রতিষ্ঠানের অফিসার কিংবা ম্যানেজারের পদ নিয়ে, জ্ঞান নিয়ে, লেখার সৌন্দর্য নিয়ে, বাকপটুতার দরুন এবং ক্ষমতা প্রাপ্ত হওয়ায় ইত্যাদির মাধ্যমে একজন ব্যক্তি তার অহঙ্কার প্রকাশ করতে পারে ৷

তাই, আল্লাহ তা’য়ালা উপদেশ দিয়ে সবাইকে সতর্ক করে বলেন, ‘আর যমীনে দম্ভভরে চলাফেরা করো না; নিশ্চয় আল্লাহ কোন দাম্ভিক, অহঙ্কারীকে পছন্দ করেন না ।’ (সূরা লুকমান: ১৮; সূরা নিসা: ৩৬; সূরা আল-হাদীদ: ২৩) সন্তানকে দেওয়া লোকমান(আ:)-এর দারুণ উপদেশ থেকে প্রত্যেকের জন্য অবশ্য শিক্ষা নিহীত রয়েছে ৷ তিনি বললেন, “অহংকারবশে তুমি মানুষকে অবজ্ঞা করো না, পৃথিবীতে গর্বভরে পদচারণা করো না ৷ নিশ্চয়ই আল্লাহ কোন দাম্ভিক অহংকারীকে পছন্দ করেন না ৷

যমীনে চলার সময় তুমি মধ্যমপন্থা অবলম্বন করো এবং কন্ঠস্বর নিচু করো, নিঃসন্দেহে গাধার স্বরই সর্বাপেক্ষা অপ্রীতিকর ৷” (সূরা লুকমান: ১৮-১৯)

অহঙ্কারের দরুন বিগত অনেক সম্প্রদায়ের ভয়ঙ্কররূপে অন্তিম ঘন্টা বেজেছিল ৷ এর শত শত নজির ইতিহাসে লিপিবদ্ধ হয়ে আছে ৷ পবিত্র কুরআনে এমন কিছু সম্প্রদায়ের বর্ণনাও স্থান পেয়েছে ৷ সূরা ফুসসিলাত ১৫নং আয়াতে আদ সম্প্রদায়ের ঘটনা বর্ণিত হয়েছে ৷ আদ সম্প্রদায় নিজেদের সবচেয়ে বেশি শক্তিশালী মনে করত, নিজেদের নিয়ে গর্ব করত এবং অযথা অহঙ্কার করত; এমনকি আল্লাহর আয়াতসমূহকেও অস্বীকার করত ৷ ফলশ্রুতিতে তাদের ধ্বংস অনিবার্য হয়েছিল ৷

সূরা কাসাসের ৩৯নং আয়াতে ফির’আউনের ঘটনা উল্লিখিত হয়েছে ৷ ফির‘আউন ও তার সেনাবাহিনী অন্যায়ভাবে যমীনে অহঙ্কার করত এবং তারা মনে করত তাদেরকে আল্লাহর নিকট উপস্থিত হতে হবে না ৷

ফির’আউন সম্প্রদায়ের হঠকারিতা ও দূরাচরণের ফলে দূর্ভিক্ষের আগমনের ফলে তাদের ক্ষেতের যাবতীয় ফসল চরমভাবে হ্রাস পেয়েছিল ৷ সূরা আ’রাফের ১৩৩নং আয়াতে এসেছে যে, ফির’আউন সম্প্রদায়ের বারবার ঔদ্ধত্য আচরণের ফলে আল্লাহ তা’য়ালা তাদের ওপর পাঁচ ধরনের আযাব নাজিল করেছিলেন— তুফান, পঙ্গপাল, উকুন, ব্যাঙ ও রক্ত ৷ এ আযাবসমূহ তাদের অসহ্য করে তুলেছিল ৷ এইভাবে প্রত্যেক অহঙ্কারীদের ভয়ঙ্কর শাস্তির সম্মুখিন হতে হয়েছিল ৷

অহঙ্কারীদের সম্পর্কে পবিত্র কুরআন ও হাদিসে তাদের আবাসস্থল ও শাস্তির প্রচণ্ডতা নিয়ে বর্ণনা করা হয়েছে ৷ পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তা’য়ালা বলেন, ‘অবশ্যই অহঙ্কারীদের আবাস অতিনিকৃষ্ট ৷’ (সূরা আন-নাহল, আয়াত-২৯; সূরা যুমার: ৭২)

‘অহঙ্কারীদের বাসস্থান জাহান্নামের মধ্যে নয় কি?’ (সূরা যুমার: ৬০); ‘এভাবেই আল্লাহ প্রত্যেক অহঙ্কারী স্বৈরাচারীর অন্তরে সীল মেরে দেন ।’ (সূরা মু’মিন: ৩৫) হাদিসে বর্ণিত হয়েছে- রাসূল(স:) বলেন, “কিয়ামতের দিন অহঙ্কারীদেরকে ছোট ছোট পিপীলিকার ন্যায় মানুষের আকৃতিতে হাশরের ময়দানে উপস্থিত করা হবে ৷ অপমান ও লাঞ্ছনা তাদেরকে চতুর্দিক থেকে ঘিরে ফেলবে ৷ তাদেরকে জাহান্নামের একটি জেলখানায় একত্রিত করা হবে, যার নাম হবে “বুলাস” ৷ আগুন তাদেরকে চতুর্দিক থেকে ঢেকে ফেলবে ৷

জাহান্নামীদের শরীরের ঘাম তাদেরকে পান করতে বাধ্য করা হবে ৷” (সুনানে তিরমিযী: ২৪৯২); অন্যত্রে রাসুল (সা.) বলেন, ‘অহঙ্কার হচ্ছে সত্য প্রত্যাখ্যান ও মানব অবমূল্যায়ন ৷’ (সহিহ মুসলিম: ৯১)

ইমাম গাজালি রহ. দুনিয়ায় অহঙ্কারী ব্যক্তির তিন ধরনের শাস্তির কথা উল্লেখ করেছেন— ক. অহঙ্কারী ব্যক্তি মানসিক অপূর্ণতা-অতৃপ্তি এবং অশান্তিতে ভোগে ৷ অহঙ্কারী ব্যক্তি সম্মানের পরিবর্তে অসম্মান প্রাপ্ত হয় ৷ খ. হেদায়াত থেকে অহঙ্কারী ব্যক্তি বঞ্চিত হয় (সূরা আরাফ: ১৪৬) ৷ গ. আল্লাহর সব ধরনের নিয়ামত থেকে বঞ্চিত হয় ৷ এছাড়াও পরকালে কোনো বিচার-বিশ্লেষণ-ফয়সালা না করেই আল্লাহ তা’য়ালা সর্বপ্রথম অহঙ্কারীকে সরাসরি জাহান্নামে নিক্ষেপ করবেন৷

হাদিসে এসেছে, আল্লাহ তা’য়ালা বলেন: সম্মান হচ্ছে- আল্লাহর পরনের কাপড়; আর অহঙ্কার হচ্ছে- আল্লাহর চাদর ৷ যে ব্যক্তি এটা নিয়ে আমার সাথে টানাটানি করে আমি তাকে শাস্তি দেই ৷ (সহিহ মুসলিম: ২৬২০)

অহঙ্কারীর কিছু বৈশিষ্ট্য: ১.অন্যের থেকে সালাম কামনা করা এবং অন্যকে সালাম প্রধান না করা ৷ ২. দাঁড়িয়ে সম্মান প্রদর্শন কামনা করা, নিজেকে অন্যদের চেয়ে বড় মনে করা ৷ ৩. কথাবার্তা-চালচলনের মাধ্যমে অহঙ্কার করা ৷ অর্থাৎ- নিজেকে তার কথাবার্তা-চালচলনের স্মার্টনেসের জন্য অন্তরে নিজেরই তারিফ করা, নিজের ভিতর গর্ববোধ করা এবং নিজেকে অন্যদের চেয়ে উত্তম মনে করা ৷

৪. ঠাট্টা বিদ্রূপ, চোগলখোরি, গীবত করা, অন্যকে নিয়ে উপহাস করা, তিরস্কার করা প্রভৃতি বিষয়ের মধ্যে মানুষের অহঙ্কারের প্রকাশ ঘটে ৷ যখন কেউ অন্যকে নিয়ে সমালোচনা করে তখন সে বুঝায় যে, সে নিজে এই সব দোষ থেকে মুক্ত ৷ নিজেকে বড় করে এবং অন্যকে ছোট করে ৷

৫. দরিদ্র-অসহায়দের সাথে মেলামেশা না করা, (সূরা আল-আন’আম: ৫১) ৷ ৬. নিজের মতের উপর অটল থাকা যদিও তাতে ভুল থাকে এবং নিজেকে শুধরায় না ৷ নিজে যা করছে কেবল তা ঠিক মনে করা ৷ এছাড়াও হাদিসে এসেছে, ‘রাসুল (সা.) বলেন, ‘জাহান্নামি হচ্ছে প্রত্যেক কঠিন প্রকৃতির ধনী কৃপণ অহংকারী ৷’ (সহিহ বুখারি: ৪৯১৮)

একজন অহঙ্কারীর ঘটনা বর্ণনা করতে গিয়ে রাসুল(সা:) ইরশাদ করেন, ‘একদা এক ব্যক্তি এক জোড়া জাঁকজমকপূর্ণ পোশাক পরে (রাস্তা দিয়ে) চলছিল ৷ তা নিয়ে তার খুব গর্ব বোধ হচ্ছিল ৷ তার জমকালো লম্বা চুলগুলো সে খুব যত্নসহকারে আঁচড়ে রেখেছিল ৷ হঠাৎ আল্লাহ তা’য়ালা তাকে ভূমিতে ধসিয়ে দেন এবং সে কিয়ামত পর্যন্ত এভাবেই নিচের দিকে নামতে থাকবে ৷ (সহিহ বুখারি: ৫৭৮৯, ৩২৯৭; সহিহ মুসলিম: ২০৮৮)

পরিশেষে আল্লাহ তা’য়ালার একটি আয়াত স্মরণের জন্য উপস্থাপন করছি যেন আমরা উক্ত আয়াত থেকে শিক্ষা গ্রহণের মাধ্যমে যাবতীয় অহঙ্কার থেকে মুক্ত থাকতে পারি ৷

আল্লাহ তা’য়ালা বলেন, ‘যাতে তোমরা আফসোস না কর তার উপর যা তোমাদের থেকে হারিয়ে গেছে এবং তোমরা উৎফুল্ল না হও তিনি তোমাদেরকে যা দিয়েছেন তার কারণে । আর আল্লাহ কোন উদ্ধত ও অহঙ্কারীকে পছন্দ করেন না । (সূরা আল-হাদীদ: ২৩); হাদিসে এসেছে- রাসূল(স:) বলেছেন, ‘তিল পরিমাণ অহঙ্কার যার অন্তরে আছে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে না ৷’ (জামে তিরমিযী: ১৯৯৮) আল্লাহ তা’য়ালা আমাদেরকে সঠিক বুঝার ও অমল করার তৌফিক দান করুক ৷ আমিন !

 

লেখক: আবদুর রশীদ । শিক্ষার্থী, সরকারি সিটি কলেজ চট্টগ্রাম ।

comment
Comments Added Successfully!