• ||
  • Saturday, June 1st, 2024
  • ||

সর্বদা আল্লাহর শুকরিয়া আদায়

সর্বদা আল্লাহর শুকরিয়া আদায়

আল্লাহ তায়ালা মানুষকে এত অসীম নেয়ামতে আবৃত রেখেছেন, কারও পক্ষে তা গণনা করা সম্ভব নয়। তবুও মানুষকে আল্লাহর নেয়ামতের শুকরিয়া আদায় করে যেতেই হবে। কারণ শুকরিয়া আদায়ের নির্দেশ আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের পক্ষ থেকেই এসেছে।

কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, ‘তোমরা আমাকে স্মরণ করো, তাহলে আমিও তোমাদের স্মরণ করব। আর তোমরা আমার নেয়ামতের শোকর আদায় করো, আমার অকৃতজ্ঞতা করো না।’ (সুরা বাকারা : ১৫২)। মানুষ যত বেশি আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করবে তত বেশি নেয়ামত ও রিজিক প্রাপ্ত হবে।

আর যদি শুকরিয়া আদায় না করে তখন আল্লাহ তায়ালা বান্দার ওপর কঠিন আজাব নাজিল করেন। তাই আমাদের উচিত রিজিক বৃদ্ধির জন্য এবং জাহান্নামের ভয়ঙ্কর শাস্তি থেকে নিজেকে বাঁচানোর জন্য বেশি পরিমাণে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করা।

এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘আর যখন তোমাদের প্রভু ঘোষণা দিলেন, যদি তোমরা শুকরিয়া আদায় করো, তবে আমি অবশ্যই তোমাদের নেয়ামত বাড়িয়ে দেব। আর যদি তোমরা অকৃতজ্ঞ হও, নিশ্চয়ই আমার শাস্তি অত্যন্ত ভয়াবহ।’ (সুরা ইবরাহিম : ৭)

যখন যেখানে আল্লাহর নেয়ামত অনুভূত হবে, সঙ্গে সঙ্গে শুকরিয়াস্বরূপ দুই রাকাত নামাজ পড়ে নেওয়া সুন্নত। একাধিক হাদিসে রাসুল (সা.) শোকর আদায় করার নির্দেশ দিয়েছেন। রাসুল (সা.) বলেন, ‘যখন তোমরা কোনো নিদর্শন দেখবে তখন সেজদা করবে।’ (আবু দাউদ : ১১৯৯)।

অন্য হাদিসে এসেছে, হজরত আবু বকর (রা.) বলেন, ‘যখন নবীজির (সা.) নিকট কোনো খুশির সংবাদ বা এমন কিছু পৌঁছত যাতে তিনি সন্তুষ্ট হতেন, তখন তিনি আল্লাহর দরবারে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনের উদ্দেশ্যে নামাজে সেজদায় পড়ে যেতেন।’ (আবু দাউদ : ২৭৭৬)।

শুধু একটি সেজদার মাধ্যমেও শুকরিয়া আদায় করা যায়; তখন তাকে সেজদায়ে শোকর বা শুকরিয়ার সেজদা বলা হবে। এ উভয় পদ্ধতিতে আল্লাহর নেয়ামতের শুকরিয়া আদায় করা যায়।

শুকরিয়ার নামাজের রাকাতের সংখ্যা নির্দিষ্ট বা স্বতন্ত্র কোনো নিয়ম নেই। তবে দুই রাকাতের কম করা যাবে না। অন্যান্য নফল নামাজের মতো করেই আদায় করতে হয়। আর শুধু সেজদায়ে শোকর আদায় করলে নামাজের তেলাওয়াতে সেজদার মতো কেবলামুখী হয়ে তাকবির দিয়ে সেজদা করা যাবে। (ফাতাওয়া মাহমুদিয়া : ৭/১২৫)

comment
Comments Added Successfully!