• ||
  • Saturday, June 1st, 2024
  • ||

এবারের রমজান হোক কোরআন বোঝার মাস

এবারের রমজান হোক কোরআন বোঝার মাস

ভূমিকাঃ আল্লাহ তায়ালা বছরে বারটি মাস নির্ধারণ করেছেন। সবগুলো মাসের গুরুত্ব সমান নয়। বারো মাসের কিছু আছে সম্মানিত মাস। ওই মাসগুলোকে আল কোরআনেই বলা হয়েছে ‘আশহুরুল হুরুম’ বা সম্মানিত মাস। ওই মাসগুলোতে যুদ্ধবিগ্রহে লিপ্ত হওয়া নিষিদ্ধ। সম্মানিত মাস চারটি- রজব, জিলক্বদ, জিলহজ্জ ও মোহাররম। তবে মুমিনের ঈমানী জিন্দেগীতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মাস হচ্ছে পবিত্র মাহে রমজান।

কোরআন ও হাদিস কি বলেঃ কোরআনে কারিম নাজিলের মাস রমজান।(সূরা বাকারা, আয়াত ১৮৪) পবিত্র রমজানে লওহে মাহফুজ থেকে আল্লাহ তাআলা কোরআনকে বায়তুল ইজ্জতে অবতরণ করেন। এ মাসেই কোরআন নাজিলের সূচনা হয়।রমজানে রাসূলুল্লাহ (সা.) কোরআন চর্চার পরিমাণ বাড়িয়ে দিতেন।তিনি অধিক পরিমাণ তেলাওয়াত করতেন এবং ফজরের পর থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত মসজিদে নববিতে সাহাবিদের (রা.) কোরআন শিক্ষা দিতেন। প্রতি রমজানে রাসূলুল্লাহ (সা.) ও হজরত জিবরাইল (আ.) পরস্পরকে কোরআন শোনাতেন। রমজানে রাসূলুল্লাহ (সা.) নামাজেও দীর্ঘ কোরআন তেলাওয়াত করতেন। বিশেষ করে তাহাজ্জুদের নামাজে। কখনও কখনও এতো দীর্ঘ কোরআন তেলাওয়াত করতেন যে, দুই রাকাত নামাজে পুরো রাত কেটে যেতো।  

উপসংহারঃ পবিত্র কোরআনের সঙ্গে সম্পর্ক নিবিড় করার পরিবেশ-পরিস্থিতি অনেক বেশি তৈরি হয় রমজান মাসে। কারণ, রমজান মাসে পানাহারের ঝামেলা থাকে না এবং মানুষ বছরের অন্যান্য মাসের চেয়ে ইবাদত ও আমলে নিয়োজিত হওয়ার ফুসরত অনেক বেশি পায় রমজানে। তাই রমজানে সর্বক্ষণ কোরআনের সাথে সম্পর্কিত থেকে নিজেদেরকে জ্যোতির্ময় করা প্রত্যেক মুসলিম নর-নারীর কর্তব্য। তাই আসুন! রমজানের অবশিষ্ট সময়টুকু আমরা কোরআন তেলাওয়াত ও কোরআনের চর্চায় অতিবাহিত করি।

comment
Comments Added Successfully!