• ||
  • Thursday, May 2nd, 2024
  • ||

দানেই সঞ্চয়

দানেই সঞ্চয়

 

 

ভূমিকাঃ পবিত্র রমজান মাসের প্রতিটি মুহূর্ত মুমিনদের জন্য অগণিত সওয়াব অর্জনের সুবর্ণ সুযোগ রয়েছে। রমজান মাসে মহান আল্লাহতায়ালা প্রতিটি নফল কাজের সওয়াব ৭০ গুণ বাড়িয়ে দেন। রমজানকে দানের মাস হিসেবে গ্রহণ করা রাসুলের (সা.) নির্দেশনা।  

হাদিস কি বলেঃ হাদিসে এসেছে, “দানশীলতা জান্নাতের একটি বৃক্ষ। যা তাকে জান্নাতে পৌঁছে দিবে” (মিশকাত)। রমজান মাসে রাসূল (সা.) অন্যান্য মাসসমূহের তুলনায় অত্যধিক পরিমাণে দান-সদকা করতেন। আর এই দান-সদকার পরিমাণ এত বেশি ছিল যে, বাতাসের গতিবেগের চেয়েও তা দ্রুত গতিতে সম্পন্ন হতো! (বুখারী শরীফ : কিতাবুস সাওম)।অন্য হাদিসে এসেছে, রাসূল(সা.)রমজান মাসে প্রত্যেক সাহায্যপ্রার্থীকে দান করতেন।  (ইমাম বায়হাকী : শুয়াবুল ইমান)

মাহে রমজানে দানের ফজিলত অনেক বেশি। অন্য ১১ মাসের তুলনায় এ মাসে অধিক দান-সাদকা করা উচিত। রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁর উম্মতদের বাস্তব শিক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে রমজান মাসে দান-দক্ষিণা ও বদান্যতার হাত বেশি করে প্রসারিত করতেন। মাহে রমজানে তাঁর দানশীলতা অন্যান্য মাসের তুলনায় বৃদ্ধি পেত। এ মাসটিকে তিনি দানশীলতার ব্যাপারে বিশেষ প্রশিক্ষণের মাস হিসেবে গ্রহণ করেছেন। তিনি মাহে রমজানে অন্যান্য সময় অপেক্ষা অধিক দয়ালু ও সহানুভূতিশীল হতেন। প্রত্যেক সাহায্যপ্রার্থী দরিদ্রকেই তিনি দান করতেন। এ সময় কোনো প্রার্থী তাঁর কাছ থেকে বঞ্চিত হতে পারত না।

উপসংহারঃ মোদ্দাকথা, দান-সদকার মোক্ষম সময় হলো রমজান। এ পবিত্র মাসে বেশি বেশি দান করার মাধ্যমে হাদিস শরীফে বর্ণিত দুর্লভ ফজিলতের ভাগীদার হওয়া সম্ভব। সমাজে সকল শ্রেণী সমভাবে রমজান কাটাতে পারবে আমাদের মুক্তহস্তে দানের মাধ্যমে। চলুন, দান-সদকায় অগ্রগামী হই। হই একজন অসহায় মানুষের চলন্ত সহযোগী।(

comment
Comments Added Successfully!